সত্যেরপথে ডেস্ক : আবদুস ছালাম কবিরাজের বাসার জানালা দিয়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের একটি বাড়ির শয়নকক্ষে জানালা দিয়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রী ঘুম ভেঙে আগুন নিভিয়ে ফেলায় প্রাণে বেঁচে যায়। তাঁদের দাবি, বাসা থেকে যেনো তাঁরা বের হতে না পারেন, সে জন্য বাড়ির প্রধান গেটে ও প্রতিবেশীর বাড়ির বাইরের গেটেও থেকে ছিটকিনি দিয়ে আটকানো ছিল।
ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে আক্কেলপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাড়ির মালিক আবদুস ছালাম কবিরাজ। তিনি পৌর শহরের সিনিয়র মাদ্রাসা পাড়ার বাসিন্দা।
থানায় দেওয়া অভিযোগপত্র ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবদুস ছালাম কবিরাজ ও তাঁর স্ত্রী একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। তাঁদের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত রহমান পাশের কক্ষে ছিল। রাত তিনটার দিকে ছালামের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন, তাঁর কক্ষের কাঠের জানালার একটি পাল্লায় আগুন ধরে গেছে। তিনি চিৎকার দিয়ে স্ত্রীকে ডেকে তোলেন এবং দুজন মিলে ঘরের ভেতর থেকে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে বাইরে যাওয়ার জন্য প্রধান ফটকে গিয়ে দেখেন, বাইরে থেকে সেটি ছিটকিনি দিয়ে আটকানো। তিনি মই দিয়ে বাড়ির প্রাচীর টপকে বাইরে গিয়ে ফটকের ছিটকিনি খোলেন। এরপর জানালার কাছে গিয়ে একটি প্লাস্টিকের বোতল পড়ে থাকতে দেখেন, যাতে কেরোসিন ছিল। একইভাবে তাঁর পাশের বাড়ি, প্রতিবেশী মজনু কবিরাজের ফটকেও বাইরে থেকে ছিটকিনি মারা ছিল।
আবদুস ছালাম কবিরাজ বলেন, পরিবারের সবাইকে পুড়িয়ে মারতে ঘরের জানালা দিয়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। যদি ঘুম না ভাঙত, তাহলে আগুনে পুড়ে মরতে হতো। এটা পরিকল্পিত ঘটনা। কারা কেন এমন ঘটনা ঘটাল, তা খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
প্রতিবেশী মজনু কবিরাজ বলেন, আবদুস ছালামের চিৎকারে তাঁরা এসে দেখেন, তখনো জানালার বাইরের অংশে আগুন জ্বলছিল। জানালার নিচে প্লাস্টিকের বোতলে কেরোসিন ছিল। তাঁর বাসার বাইরের ফটকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল। থানা-পুলিশ এসে রাতেই ঘটনাস্থল দেখে গেছে।
আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আবদুস ছালাম কবিরাজ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
সত্যেরপথে.কম/এবি
আপনার মতামত লিখুন :