প্রধান সংবাদ : এক বড় ব্যবসায়ীর বরাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগে ঘুষ দিতে হতো এক লাখ টাকা, এখন দিতে হয় পাঁচ লাখ টাকা। তিনি বলেন, দেশের কোথাও কোনো সুশাসন ও নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশেও কোনো পরিবর্তন হয়নি।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা বই ‘অর্থনীতি শাসন ও ক্ষমতা : যাপিত জীবনের আলেখ্য’র প্রকাশ ও আলোচনা বিষয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনার পতন ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি’ শীর্ষক আরেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। সেখানে তিনি বলেছেন, লোক ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না।
সিরডাপ মিলনায়তনে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকালই এক বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা হলো। তিনি বলছেন, আগে ঘুষ দিতাম এক লাখ টাকা, এখন দিই পাঁচ লাখ টাকা। আমি জানি না এটাকে কিভাবে দেখবেন।
পুলিশের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন, পুলিশের কোনো পরিবর্তনই হয়নি। বরং তারা সুযোগ নিচ্ছে। একবার বলে যে মিলিটারির কাছে যাও, আরেকবার বলে কোর্টে যাও। এভাবে পুলিশ দায়িত্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। তাদের আসলে কনফিডেন্সই নেই। কারণ তারা ওই বিগত সরকারের সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল।
সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলতে পারব না। আবার তাই বলে, দীর্ঘকালের জন্য গণতান্ত্রিক চর্চাটাকে বাদ দিয়ে এটাকে ঠিক করার জন্য কাজ করতে থাকব, এটাও ঠিক না। এ জন্য অতি দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে সংস্কার করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আগের সরকারের কোনো জবাবদিহি ছিল না। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি, বারবার রাস্তায় নেমেছি, মানুষকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটা পরিবর্তন নিয়ে এসে আবার একটা সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কয়েকজন ব্যক্তিকে দেশ-বিদেশ থেকে ভাড়া করে নিয়ে এসে কি দেশ চালানো যায়? যায় না। এই সহজ-সরল কথা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, এখন আমরা জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে গেলেই বলবে, বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। নির্বাচন না হলে, আমি প্রতিনিধি নির্বাচন করব কী করে? আর প্রতিনিধি নির্বাচিত না হলে সে পার্লামেন্টে যাবে কী করে? পার্লামেন্টে না গেলে জনগণের শাসনটা প্রতিষ্ঠিত হবে কোত্থেকে।
সত্যেরপথে.কম//সংগৃহীত
আপনার মতামত লিখুন :