চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : পিএম সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে।
রোববার গভীর রাতে আন্তর্জাতিক পিলার ৭৬ থেকে ৭৭ নম্বরের মাঝামাঝি এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। বিজিবি আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি স্বীকার না করলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পালিয়ে আসা দুজনের বর্ণনার ভিত্তিতে শিবগঞ্জের পাঁকা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিক উদ্দিন জানান, মৃত দুজনকে সীমান্তের ভারতীয় অংশে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পদ্মায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। নিহতরা হলেন শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের গাইপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম রিংকু এবং পাঁকা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মমিন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত দুইটার দিকে ওয়াহেদপুর বিওপির পাশ দিয়ে ৪–৫ জনের একটি দল গরু আনতে সীমান্তে যায়। তখন ভারতের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা রিংকু ও মমিনকে আটক করে বেধড়ক পেটায় এবং পরে পদ্মা নদীতে মরদেহ ভাসিয়ে দেয়। অন্যরা কোনোমতে পালিয়ে ফেরে। বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, নিমতিতা ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরাই তাদের পিটিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে।
নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সন্তানদের অবস্থান জানতে চাননি। স্থানীয়দের অনেকে জানান, আইনি জটিলতার ভয়ে পরিবারগুলো প্রকাশ্যে কিছু বলতেও নারাজ। মমিনের দুই প্রতিবেশী ভারতীয় আত্মীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে এ তথ্য তাঁদের কাছেই প্রথম শোনা।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান সোনালী নিউজকে বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁরা শুনেছেন। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, কিন্তু তারা এখনো কিছু জানায়নি। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকেও বিজিবি কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি বলে জানান তিনি।
সত্যেরপথে.কম/সংগৃহীত
আপনার মতামত লিখুন :