sotterpathe
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

হাতি ঘোড়া তৈরি করেও সংসারের উন্নতি হচ্ছে না 


সত্যের পথে | জেলা সংবাদ প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম হাতি ঘোড়া তৈরি করেও সংসারের উন্নতি হচ্ছে না 

আকতার হোসেন বকুল : প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আগুনে চিনি-পানি জাল করে গলিয়ে তাদিয়ে হাতি ঘোড়া বাঘ দোয়েল পাখি ও মাছ ইত্যাদি তৈরি করেও সংসারের উন্নতি হচ্ছে না অভিযোগ খাজা বাতসা তৈরির কারিগরদের। একইসঙ্গে কদমা খাজা বাতসা, মিছরি, খাগড়াই ও মুড়ি-মুড়কি সহ বিভিন্ন ধরনের মিঠাই তৈরি করে পাইকারদের চাহিদা অনুযায়ী।

বর্তমানে চিনি ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের মত আর লাভ তেমন হয় না। তবে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া কর্মটি চালিয়ে যাচ্ছি বলে জানান, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দা গ্রামের কুড়ি পাড়ার ( হিন্দুপাড়া) গোপাল-রিতা দম্পতি। দিনরাত একটা কাজ করলে দু'জন মিলে প্রায় ৮ থেকে ১০ মন খাজা বাতাসা তৈরি করতে পারে।
গোপাল চন্দ্র বলেন, সারাবছর এ মিঠাই তৈরির কাজ হয় না।

কালিপুজা, দূর্গাপূজা, পহেলা বৈশাখ, ঈদ সহ সনাতন ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন ধর্মী উৎসবকে ঘিরে এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া গ্রামবাংলায় যখন মেলা বসে এসময় এর চাহিদা একটু বেশি হয়। বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গোপাল চন্দ্র বর্মন ও রিতা রানী মিঠাই তৈরিতে ব্যস্ত। মিঠাই তৈরির জন্য তারা আখার উপর বড় একটি পাত্রে চিনি পানি মিশিয়ে জ্বাল করছে। গোপাল আরো বলেন, এই পাড়ায় আমাদের মতন অনেকেই মিঠাই তৈরির কাজ করত লাভ কমে যাওয়ায় এ পেশা ছেড়ে দিয়েছে। রিতা রানী বলেন, এনজিও এবং অন্যের নিকট থেকে ঋণ করে এই ব্যবসা আর কতদিন চলবে। অল্প সুদে সরকার যদি আমাদের ঋণ দিত তাহলে আমরা মিঠাই তৈরির কাজটি বড় করতে পারতাম। লাভ একটু বেশি হলে সংসারের উন্নতি হত।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। পাশাপাশি স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানান তিনি।

সত্যেরপথে.কম/এবি
 

Side banner