sotterpathe
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ক্ষেতলালে তুলশীগঙ্গা নদীর তীরে দুইশ বছরের ঘুড়ির মেলা


সত্যের পথে | জেলা সংবাদ প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম ক্ষেতলালে তুলশীগঙ্গা নদীর তীরে দুইশ বছরের ঘুড়ির মেলা

আবু হাসান, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী সনাতল ধর্মাবলম্বীদের সন্যাস মন্দিরে পুজা উৎযাপন উপলক্ষে বসে দুইদিন ব্যাপী ঘুড়ির মেলা। 

জানা গেছে, গ্রামীণ এ মেলা সন্যাসতলীর ঘুড়ির মেলা হিসেবে পরিচিত। মেলার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে না পারলেও জনশ্রুতি রয়েছে সন্যাসী পুজাকে ঘিরে দু’শ বছরের অধিক সময় আগে মেলাটির উৎপত্তি ঘটে। সেই থেকে পঞ্জিকা অনুসারে প্রতিবছর বাংলা জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ শুক্রবার বিকেলে বসে গ্রামীণ এ মেলা। মেলায় আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দুর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের এই সন্যাসতলীতে সনাতন ধর্মের লোকজন মন্দিরে সন্যাসীকে পূজা দিয়ে দিনটি উৎযাপন করলেও এটি মুলত হিন্দু মুসলিমের একটি মিলন মেলা। বিকেলের পর সময় গড়ানোর সাথে সাথে মেলায় মানুষের ঢল নামে। মেলাকে ঘিরে জামাই এবং স্বজনদের আপ্যায়ন চলে মেলা সংলগ্ন আশপাশের কয়েক গ্রামে। রং বেরংয়ের ঘুড়ি মেলার মুল আকর্ষন হলেও বর্তমানে মেলায় বসে রকমারি মিষ্টির দোকান।

যেখানে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি ও চিনির শাহী জিলাপি আকৃষ্ট করে মেলায় আসা দর্শকদের। মেলায় বাঁশ কাঠ ও লোহার তৈরি সংসারের বিভিন্ন সামগ্রী ও মাছ ধরার নানা যন্ত্রের আমদানিও নজর কাড়ে মানুষের। শিশুদের খেলাধুলার জিনিষপত্র এবং  কসমেটিক্স এর দোকানও বসে দুইদিনের এ মেলায়।

জামাই-মেয়ের পাশাপাশি স্বজনদের আপ্যায়নের রীতি এলাকায় চলে আসছে এ মেলাকে ঘিরেই। স্থানীয় মহব্বতপুর গ্রামের দুলাল, জিয়াপুরের কাজী রফিকুল বলেন আমাদের বাবা দাদারা এই মেলা করতে এসে ছিল আমরাও এই মেলাতে কেনাকাটা করতে আসি।

এ মেলাকে ঘিরে  আশে পাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মেলাতে আসা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফারুক হোসেন, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নিতাই চন্দ্র, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা আলিফ হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সন্যাসতলী মেলাতে আসি আমরা  শুধু ঘুড়ি কিনতে। ঘুড়ি ছাড়াও  এখানে সব ধরনের জিনিস পত্র পাওয় যায়। সন্যাস মন্দির কমিটির সভাপতি মন্টু চন্দ্র বলেন, প্রতি বছরের মত এবারেও বসেছে সন্যাশতলী মেলা এই মেলা প্রায় দু’শ বছরের পুরাতন মেলা। এ মেলা  হিন্দু, মুসলিম সবাই মিলে পরিচালনা করে থাকি । দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ মেলায়  আসেন।

ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই সন্যাশতলী মেলার মূল আর্কষন ঘুরি এ মেলাকে  ঘিরে আশে পাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। 

সত্যেরপথে.কম/এবি
 

Side banner