sotterpathe
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

বিড়ালছানার অসুস্থতায় গৃহিণীর কাঁন্না


সত্যের পথে | জেলা সংবাদ প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম বিড়ালছানার অসুস্থতায় গৃহিণীর কাঁন্না

সত্যেরপথে ডেস্ক : বিড়ালছানার অসুস্থতায় তাঁকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আসেন গৃহিণী নিপা আকতার

গৃহিণী নিপা আকতার পাড়ার একটি বাড়ি থেকে ছোট্ট একটি বিড়ালছানা নিজের বাড়িতে এনে পুষছেন। আদর করে নাম দিয়েছিলেন মিনি। সেই ছোট্ট মিনির বয়স এখন এক বছর। কোথাও গেলে মিনিকে সঙ্গে রাখেন। হঠাৎ মিনির অসুস্থায় বিচলিত হয়ে পড়েন গৃহিণী নিপা আকতার।

গত মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ মিনিকে কোলে নিয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আসেন নিপা। এ সময় ছোট্ট মেয়ে তাঁর সঙ্গে ছিল। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসাকেন্দ্রে মিনি এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। এটি দেখে নিপার দুই চোখ বেয়ে অঝোরে পানি ঝরছিল। চিকিৎসক দ্রুত এসে মিনিকে চিকিৎসা দেন। কিছুক্ষণ পর মিনি একটু সতেজ হয়। এতে নিপা ও তাঁর মেয়ে কিছুটা স্বস্তি পান।নিপা বেগমের বাড়ি পাশের নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর জোয়ার্দ্দারপাড়া গ্রামে। তিনি দুই সন্তানের জননী। নিপা জানান, গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এক বছর আগে বিড়ালছানা এনে নিজের বাড়িতে লালন-পালন শুরু করেন। মিনি শোবার ঘরে বিছানায় থাকে। যেখানে যান মিনিও সঙ্গে থাকে। কয়েক দিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। গ্রাম্য চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ কিনে খাওয়ান। কিন্তু সুস্থ হয়নি। আজ সকাল থেকে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়।

নিপা আকতার বলেন, ‘মিনিকে সন্তানের মতো ভালোবাসি। মিনির অসুস্থায় আমাকে বিচলিত করেছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এনে চিকিৎসা দিয়েছি। চিকিৎসকেরা কাল আবারও নিতে যেতে বলেছেন।প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ছাগলের চিকিৎসা নিতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন নারী অসুস্থ বিড়ালকে কোলে নিয়ে এসে কাঁদছিলেন। বিড়ালের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

আক্কেলপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. মঞ্জরুল হাসান বলেন, বিড়ালটির শরীরের তাপমাত্রা ছিল ১০৪ ডিগ্রি। ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। জ্বর কমে গেলে বিড়াল খাওয়াদাওয়া শুরু করবে বলে আশা করছেন। কাল আবার বিড়ালটি আনতে বলেছেন।

সত্যেরপথে.কম/এবি
 

Side banner