sotterpathe
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

চামড়ার বাজারে ধস, জয়পুরহাটে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে


সত্যের পথে | শামীম কাদির প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৪, ১১:০০ পিএম চামড়ার বাজারে ধস, জয়পুরহাটে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে

শামীম কাদির : চামড়ার বাজারে ধস, জয়পুরহাটে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে।জয়পুরহাটে গত বছররে মতো এবারও কোরবানরি পশুর চামড়ার বাজারে ধস নমেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় চামড়া কিনে গাড়ি ভাড়াও তুলতে পারছনে না মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। ফলে বিপাকে পড়ছেনে তারা। অনেক জায়গায় এই দামে বিক্রি না হওয়ায় অবহেলায় মাটিতে লুটাচ্ছে কোরবানির চামড়া। স্থায়ী চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবারও চামড়া দাম বেশি।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সিন্ডিকেট করে নিজেদের ইচ্ছে মতো চামড়া কনিছেন আড়ত দাররা, তাই চামড়া বাজারে এই ধস। ফলে ব্যাপক ক্ষতরি আশঙ্কা রয়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।

জানা গছে, এবার বাজারে প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪০০ থকেে ৫০০ টাকায়। ছাগলরে চামড়া কেনার আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। জয়পুরহাট সদর উপজলোর রাংতা গ্রামের আক্কাস আলী , কালাই উপজলোর হাতিয়র গ্রামের গোলাম রব্বানী, ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া গ্রামের রাসেল হোসেনসহ জেলের বিভিন্ন এলাকার কোরবানি দেওয়া ব্যক্তিরা জানান, গত বছরের মতোই এবারও চামড়া দাম নইে।
চামড়ার বাজার ধসের কারণে লোকসানের শিকার জেলার প্রায় সব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। শহরের শাপলা নগর এলাকার বিপ্লব হোসেন, জামালগঞ্জ বাজারের মতউির রহমানসহ কয়েজন মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, হঠাৎ করে কোরবানির চামড়ার দরপতনের দিশেহারা তারা। ফলে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক ফড়িয়া জানান, সীমান্তে কড়াকড়ি না থাকলে তারা ওপারে চামড়া পাঠিয়ে কিছু লাভের মুখ দেখত।এবার ওসেটি হচ্ছে না। পুঁজি সংকট ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনাসহ নানা কারণে চামড়ার দাম পড়ে গছে।

জয়পুরহাট শহরের চামড়া ব্যবসায়ী রায়হান হোসেন ও শাহিন আকতার বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে কোটি কোটি টাকা। হাতে টাকা না থাকায় তারা কাঙ্ক্ষিত পরমিাণে চামড়া কিনতে পারছেন না। ফলে বাজারে চাহিদা কম, তাই চামড়ার মূল্য কমে গেছে।এছাড়া চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে বিজিবিরি টহল বাড়ানো হয়ছে।এতে করে দেশের স্থানীয় বাজারে আপাতত চামড়া কেনাবেচা করতে হচ্ছে এটাও চামড়ার দাম কমার কারণ।

জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: র্কনলে মো. নাহিদ নেওয়াজ জানান, জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ কিলোমিটার।এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার এলাকা তার কাঁটার ঘর, বাকি ১৮ কিলোমিটার সীমান্তে তার কাঁটা নইে। চোরাকারবারিরা মূলত এই জায়গাটিকেই তাদরে পাচাররে পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাক। তাই এই জায়গাগুলো সব সময় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। চামড়া পাচার রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা।

সত্যেরপথে.কম/এবি

Side banner