আতিউর রাব্বী তিয়াস, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ অনিয়ম-দুর্নীতি,স্বেচ্চাচারিতা শিক্ষার্থীদের সনদ ও প্রশংসাপত্র দেওয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে তিলকপুর সচেতন নাগরিকের ব্যানারে বিদ্যালয়ের মুলফটকের দরজায় তালা লাগিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ।
এ ঘটনাটির তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে তিলকপুর আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ‘তিলকপুর সচেতন নাগরিক’-এর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অংশ নেন। তবে আজ সোমবার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে দেখা যায়নি।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন,তিলকপুর আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম নিয়ম লঙ্ঘন করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এসব বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ে সনদ ও প্রশংসাপত্র নিতে গেলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অনেক অসচ্ছল শিক্ষার্থী এ টাকা দিতে না পারায় নিজেদের সনদ ও প্রশংসাপত্র নেয়নি।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক সুমন হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামের নির্দেশে সহকারী শিক্ষকরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব টাকা আদায় করেছেন। তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘সনদ, প্রশংসাপত্রসহ যাবতীয় টাকা রসিদের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি আমার কাছে টাকা দাবি করেছিলেন, কিন্তু তাদেরকে কোনো টাকাপয়সা দিইনি। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে তারা ষঢ়যন্ত্র করছে।
আক্কেলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে চলতি সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সত্যেরপথে.কম/এবি
আপনার মতামত লিখুন :