sotterpathe
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ০৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নিখোঁজের ছয় দিন পর ছোট্ট শিশু রদিয়ার লাশ উদ্ধার


সত্যের পথে প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম নিখোঁজের ছয় দিন পর ছোট্ট শিশু রদিয়ার লাশ উদ্ধার

সত্যেরপথে ডেস্ক : নিখোঁজের ছয় দিন পর শুক্রবার রাতে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু রদিয়ার বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

চার বছরের ছোট্ট শিশু মোছা. রদিয়া আকতার (রুহি) নিখোঁজের কয়েক দিন আগে লাল টুকটুকে জামা পরে একটি ছবি তুলেছিল। ছবিটি এখন শুধুই স্মৃতি। নিখোঁজের ছয় দিন পর গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সেপটিক ট্যাংকে তার বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রদিয়া আকতারের বাড়ি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হেমাইল গ্রামে। সে ওই গ্রামের আবদুর রহমানের সাবেক স্ত্রীর সন্তান। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎমাসহ তিনজনকে আটক করেছে।

আটক তিনজন হলেন নিহত রদিয়ার সৎমা সোনিয়া খাতুন, সৎমায়ের বাবা মো. জিয়া ও রদিয়ার চাচা মো. রনি। মা ও নানাকে ফাঁসাতে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রদিয়ার মা আরজিনা খাতুনের সঙ্গে তাঁর বাবা আবদুর রহমানের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। সে মায়ের সঙ্গে একই গ্রামে নানার বাড়িতে থাকত। রদিয়ার বাবা পরে আবার বিয়ে করেন। রদিয়া নানার বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যেত। গত ২৪ মে বেলা ১১টার দিকে বাবার বাড়িতে দাদিকে দেখতে যায়। এরপর সে আর নানার বাড়িতে ফিরেনি। পরের দিন রদিয়ার বাবা কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।রদিয়ার বাবা ও দাদার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, রদিয়ার মা ও নানার বাড়ির লোকজন তাকে গুম করেছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই আবদর রহমানের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। শিশুটির স্বজন ও গ্রামবাসী সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা তুলে ভেতরে একটি বস্তা দেখতে পেয়ে থানার পুলিশকে খবর দেন। রাত ১১টার দিকে বস্তাবন্দী অবস্থায় নিখোঁজ শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।রদিয়ার মা আরজিনা খাতুন বলেন, ‘ওরা আমার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। লাশ গুম করতে বস্তাবন্দী করে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পাপকাজ পাহাড়ে ঢাকা থাকে না। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, নিখোঁজ শিশুটিকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর রাখা হয়েছিল। পুলিশ জিডির সূত্র ধরে তথ্য উদ্‌ঘাটন করেছে। শিশুটিকে তিন-চার দিন আগে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি গুম করতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

সত্যেরপথে.কম/এবি

Side banner